গ্যাস্ট্রিক থেকে মিলবে এবার স্থায়ী নিরাময়। #আমলকী #বিভীতকী #হরীতকী #বুকজ্বালা #পেট ও পেটে ব্যথা #বমি বমিভাব #শ্বাসকষ্ট #মুখে তিক্ত স্বাদ #মুখের ঘা #মাথা_ব্যথা নিম্ন #রক্তচাপ #অনিদ্রা #ক্ষুধা ও অস্বস্তি হ্রাস #কোষ্ঠকাঠিন্য #চুল_পড়া - Jabershop.com
SUBTOTAL :

Follow Us

Health & Beauty nutrition
গ্যাস্ট্রিক থেকে মিলবে এবার স্থায়ী নিরাময়। #আমলকী #বিভীতকী #হরীতকী #বুকজ্বালা #পেট ও পেটে ব্যথা #বমি বমিভাব #শ্বাসকষ্ট #মুখে তিক্ত স্বাদ #মুখের ঘা #মাথা_ব্যথা নিম্ন #রক্তচাপ #অনিদ্রা #ক্ষুধা ও অস্বস্তি হ্রাস #কোষ্ঠকাঠিন্য #চুল_পড়া

গ্যাস্ট্রিক থেকে মিলবে এবার স্থায়ী নিরাময়। #আমলকী #বিভীতকী #হরীতকী #বুকজ্বালা #পেট ও পেটে ব্যথা #বমি বমিভাব #শ্বাসকষ্ট #মুখে তিক্ত স্বাদ #মুখের ঘা #মাথা_ব্যথা নিম্ন #রক্তচাপ #অনিদ্রা #ক্ষুধা ও অস্বস্তি হ্রাস #কোষ্ঠকাঠিন্য #চুল_পড়া

Health & Beauty nutrition
Short Description:

Product Description



Price BDT :575

Cash On Delivery 


Contact On :
 +8801880044199
 +8801789741485 (Imo)
 +8801791213949 (WhatsApp)
  colorq97@gmail.com


ত্রিফলা চূর্ণ উপকারিতা কি?
ত্রিফলা- ত্রিফলা তিনটি ফলের সমন্বয়ে গঠিত- আমলকি, হরিতকি এবং বহেরা। হজমের জন্য দুর্দান্ত আয়ুর্বেদিক প্রতিকার। ত্রিফলা অন্ত্রের গতিবিধি উন্নত করতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য উপশম করার মোক্ষম দাওয়াই। এটি শরীর থেকে টক্সিন দূর করে হজমের স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও সাহায্য করে।
#ত্রিফলা- ত্রিফলা তিনটি ফলের সমন্বয়ে গঠিত- আমলকি, হরিতকি এবং বহেরা। হজমের জন্য দুর্দান্ত আয়ুর্বেদিক প্রতিকার। ত্রিফলা অন্ত্রের গতিবিধি উন্নত করতে এবং... 
#ত্রিফলার (Triphala) নাম আপনারা সবাই শুনেছেন। অনেকে অসুস্থতায়ও এটা নিতে দেখেছেন। আসলে, ত্রিফলা একটি প্রাচীন আয়ুর্বেদিক এবং ভেষজ প্রতিকার। এটি ভারতীয় আমলা, বয়রা এবং হরিতকি নামে তিনটি ভিন্ন ফল থেকে তৈরি করা হয়। এটি বাজারে পাউডার, ক্যাপসুল, জুস বা নির্যাস আকারে পাওয়া যায়। বলা হয় যে এই আয়ুর্বেদিক ভেষজটি ডায়াবিটিস, উচ্চ কোলেস্টেরল এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যার জন্য সেরা চিকিৎসা। লাইফস্টাইল কোচ এবং লেখক লুক কৌনটিহো ত্রিফলা (Triphala) সম্পর্কে অনেকবার কথা বলেছেন।
#একটি ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন যে ত্রিফলাকে ত্রিদোষ বলা হয়। এর মানে হল যে এটি সমস্ত দোষের জন্য উপযুক্ত। এমনকি বয়স্ক, অসুস্থ, কিশোর, শিশু ও যুবকরাও এটি ব্যবহার করতে পারে। তিনি পরামর্শ দিয়েছেন যে ত্রিফলা খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আমরা আপনাকে জানিয়ে রাখি যে টুইটারেও তিনি অতীতে বহুবার ত্রিফলার উপকারিতার কথা বলেছেন। তার মতে, সব সুবিধার পাশাপাশি এর অসুবিধাগুলোও জানা জরুরি।
#ত্রিফলা হজমশক্তির উন্নতি ঘটায় 
#বিশেষজ্ঞের মতে, ত্রিফলা শুধু হজমশক্তিই উন্নত করে না, এর সাথে রয়েছে প্রদাহরোধী এবং ক্যানসার প্রতিরোধক গুণও। এটি ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য খুবই ভালো। এটি শুধুমাত্র বর্ধিত কোলেস্টেরল কমাতেই সাহায্য করে না, আপনি এটি সেবন করে ওজনও কমাতে পারেন।
#Triphala Side Effects: পেট পরিষ্কার করতে ত্রিফূলা চূর্ণ তো খান, কাদের জন্য তা বিষের সমান? জানেন
Ayurveda: ত্রিফলার নির্দিষ্ট কোনও ব্যবহার বিধি নেই। পাউডার, জুস বা ক্যাপসুল যে কোনও ভাবে খেতে পারেন...
পেট পরিষ্কার রাখতে সেই প্রাচীন কাল থেকেই আয়ুর্বেদে ব্যবহার করা হয় ত্রিফলা। বহেড়া, আমলকী আর হরিতকী- এই তিন ফলের সংমিশ্রণে বানানো হয় বাজারে মূলত ত্রিফলা চূর্ণ হিসেবেই তা বিক্রি হয়। অনেকে আবার ক্যাপসুল কেনেন। এছাড়াও আজকাল জুসের আকারেও পাওয়া যাচ্ছে ত্রিফলা। ডায়াবেটিস, হাই কোলেস্টেরল এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রুখতে খুব ভাল কাজ করে এই ভেষজ। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা তাই সব সময় ত্রিফলার পক্ষে হয়েই সওয়াল করেন। এছাড়াও পেট সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যার সমাধান থাকে এই ত্রিফলা চূর্ণের হাতেই। তবে লাইফস্টাইল কোচ লুক কন্টিহো ত্রিফলা খাওয়ার বিষয়ে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, বয়স্ক, অসুস্থ, কিশোর, শিশু, যুবক- সবাই খেতে পারেন এই ত্রিফলা। তবে এই ত্রিপলা খাওয়া শুরু করার আগে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথাও বলছেন তিনি।
ত্রিফলার উপকারিতা
হজম শক্তি বাড়াতে ত্রিফলার জুড়ি মেলা ভার। সেইসঙ্গে ত্রিফলা ক্যানসার প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে। যে কোনও রকম সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য ত্রিফলা খুবই ভাল। ত্রিফলা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে রোজ খেলে ওজনও থাকে নিয়ন্ত্রণে।
#ত্রিফলা গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সমাধানে খুবই কার্যকর। ত্রিফলায় থাকা আমলকি হজমে সাহায্য করে ও স্টমাক অ্যাসিগে ব্যালেন্স
বজায় রাখে। গ্যাস্ট্রিক ও বুক জ্বালাপোড়ার প্রাকৃতিক সমাধান আমারবাজার্স এর অর্গানিক ভেষজ পণ্যে। গ্যাস্ট্রিক থেকে মিলবে
এবার স্থায়ী নিরাময়।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় কম-বেশি ভোগেননি এমন বাঙ্গালী খুঁজে পাওয়া যাবে না। পেটে গ্যাস, গলা-বুক জ্বলা, অরুচি, বমি ভাব,
পেট ফুলে ওঠা বা চিনচিন করে ব্যথা—এসব সমস্যা হলেই আমরা গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ অথবা অ্যাসিডিটির সিরাপ খাই। এতে কিছুটা
আরাম মেলে কিন্তু গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা থেকেই যায়।
ওমিপ্রাজল-জাতীয় গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ দিনের পর দিন খাওয়া বিপজ্জনক। এতে পাকস্থলীর পিএইচ পরিবর্তিত হয়ে যায়,
ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে, রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে। হাড় ক্ষয় এবং শরীরে রোগজীবাণু প্রবেশের সক্ষমতা বেড়ে যায়। এমনকি
কিডনি মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই সময় থাকতেই নিন প্রাকৃতিক সুরক্ষা।
এসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিক সমস্যা আজকাল নিত্তনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিয়ম মেনে খাবার না খাওয়া, অতিরিক্ত ঝাল
মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া, মানসিক চাপ ও মদ্যপানের কারণে এই রোগ হয়ে থাকে। এছাড়া বাইরের খাবার খাওয়া ও অতিমাত্রায়
ফাস্টফুডে আসক্তির কারণে গ্যাস্টিক সমস্যা বাড়ছে।
#গ্যাস্টিকের লক্ষণ:
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে খিদে কম পায়, পেটে গ্যাস হয়, বুক জ্বালা করে ও পেটের মাঝখানে চিনচিন ব্যথা, বুক ও
পেটে চাপ অনুভূত, হজমে অসুবিধা এবং বমি হতে পারে।
গ্যাস্ট্রিক সমস্যা বেশি হলে সবাই কম বেশি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেয়ে থাকেন হয়তো। বিশেষজ্ঞের
মতে, ওমিপ্রাজলজাতীয় গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ বছরের পর বছর খাওয়া বিপজ্জনক। এতে পাকস্থলীর পিএইচ পরিবর্তিত
হয়ে যায়, ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে, রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে। তবে আপনি জানেন কি- ঘরোয়া কিছু উপায়ে এই
গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়?
অর্গানিক এর গ্যাস্ট্রিক নিরময় প্যাকেজে আছে অতি মূল্যবান ভেষজ পণ্য। যা প্রাকৃতিকভাবে গ্যাস্ট্রিকসহ অন্যান্য রোগ থেকে আমাদের সুরক্ষা প্রদান করে।
 #ত্রিফলা।
ত্রিফলাঃ
ত্রিফলা গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সমাধানে খুবই কার্যকর। ত্রিফলায় থাকা আমলকি হজমে সাহায্য করে ও স্টমাক অ্যাসিগে ব্যালেন্স বজায় রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে, ত্রিফলা গ্যাস্ট্রিক ও আলসার হওয়ার প্রবণতা অনেক কমিয়ে দেয়।
থানকুনিঃ
পেটের যেকোন পীড়া নির্মূলে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমাধানে থানকুনি মহৌষধ হিসেবে কাজ করে।
তুলসীঃ
পেট ব্যাথা, অম্বল, গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি সবকিছুর বিরুদ্ধে তুলসী পাতা দারুণ কাজ করে।
আদাঃ
গ্যাস-অম্লের জন্য আদা খুবই উপকারি। ২০০৮ সালে ইউরোপিয়ান জার্নাল অফ গ্যাসট্রোএনটেরেলজি এন্ড হেপ্যাটোলজিতে প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়েছে,নিয়মিত আদা খেলে হজম প্রক্রিয়া তরান্বিত এবং পেটের গ্যাস নিরাময় হয়।
উপকারীতা:
গ্যাসের সমস্যা দূর করবে নিমিষেই। বুক গলা
জ্বালাপোড়া দূর করবে। অতিরিক্ত গ্যাসের কারনে
যাদের ক্ষুদা লাগেনা তাদের গ্যাস দূর করে ক্ষিদা
বাড়াবে, রুচি বাড়াবে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে।
আমাশয়,আলসার, বদহজম দূর করবে।
ক্ষুদামন্দা দূর করবে। গ্যাসজনিত পেটব্যাথা দূর করবে।
 ত্রিফলাই শেষ কথা : আপনারা অনেকে পেট ঠাণ্ডা রাখতে ত্রিফলার জল খেয়ে থাকেন। ত্রিফলা কিন্তু গ্যাসের জন্যও খুব ভাল। বিশেষত গবেষণা করে দেখা গেছে, ত্রিফলা গ্যাস্ট্রিক আলসার হওয়ার প্রবণতা অনেক কমিয়ে দেয়। তাই নিশ্চিন্তে ত্রিফলা খান। কীভাবে খাবেন: এক চা চামচের অর্ধেক ত্রিফলা গুড়ো নিয়ে তা জলে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। এবার ঘুমোতে যাওয়ার আগে সেই জল খেয়ে নিন। তবে মনে রাখবেন ত্রিফলা কিন্তু খুব বেশি পরিমাণে নেবেন না। এই ছটি ঘরোয়া পদ্ধতি মেনে চলুন। সঙ্গে মশলাদার খাবার খাওয়া কমান, নিয়ম করে জল খান। আর অনেক ক্ষণ পেট খালি রাখা বন্ধ করুন। তাহলেই দেখবেন গ্যাসের সমস্যা আপনার কাছেই আসছে না আর।
#ত্রিফলা
আপনারা অনেকে পেট ঠান্ডা রাখতে ত্রিফলার পানি খেয়ে থাকেন। ত্রিফলা গ্যাসের জন্যও খুব ভালো। গবেষণায় দেখা গেছে, ত্রিফলা গ্যাস্ট্রিক আলসার হওয়ার প্রবণতা অনেক কমিয়ে দেয়। তাই নিশ্চিন্তে ত্রিফলা খান।
এক চা চামচের অর্ধেক ত্রিফলা গুঁড়া নিয়ে তা পানিতে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এবার ঘুমাতে যাওয়ার আগে সেই পানি খেয়ে নিন। তবে ত্রিফলা খুব বেশি পরিমাণে নেবেন না।
#ত্রিফলা খেলে যেসব উপকার পাবেন
ত্রিফলা একটি ভেষজ প্রতিকার। অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা এটি বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় কয়েক শতাব্দী ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তিনটি ফল আমলকি, হরিতকি বহেরার সমন্বয়ে ত্রিফলা তৈরি করা হয়। এগুলো আমাদের সামগ্রিক সুস্থতার জন্য কাজ করে। ত্রিফলা খাওয়ার অসংখ্য উপকারিতার মধ্যে কয়েকটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা রয়েছে। চলুন সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
হজম ভালো রাখে
ত্রিফলা ব্যতিক্রমী পাচক বৈশিষ্ট্যের জন্য বিখ্যাত। এটি অন্ত্রের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয় এবং একটি স্বাস্থ্যকর পাচনতন্ত্র বজায় রাখে। এই তিন ফলের সংমিশ্রণ অন্ত্রকে উদ্দীপিত করে, যা অন্ত্রের মধ্য দিয়ে বর্জ্য সরানো সহজ করে তোলে। যে কারণে হজম ক্ষমতা ভালো থাকে।
ডিটক্সিফিকেশন
ত্রিফলা শরীরের জন্য প্রাকৃতিক ডিটক্সিফায়ার হিসেবে কাজ করে। এটি লিভারের ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে টক্সিন এবং ক্ষতিকারক পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে। ত্রিফলায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভারকে রক্ষা করে সর্বোত্তমভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।
কোলেস্টেরল কমায়
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ত্রিফলা খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকে। এছাড়া ত্রিফলা খেলে তা ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে কিন্তু ডায়াবেটিসবিহীন লোকেদের ক্ষেত্রে নয়। তাই সুস্থতার জন্য নিয়মিত ত্রিফলা খাওয়ার অভ্যাস করুন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ত্রিফলা ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সমৃদ্ধ উৎস, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। নিয়মিত ত্রিফলা খেলে তা শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে। এর ফলে সংক্রমণ, অসুস্থতা এবং সাধারণ সর্দি প্রতিরোধ করা সহজ হয়।
ওজন কমায়
ত্রিফলা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি বিপাক নিয়ন্ত্রণ, হজমের উন্নতি এবং শরীর থেকে অতিরিক্ত চর্বি অপসারণে সহায়তা করে। সেইসঙ্গে এর হালকা রেচক প্রভাব পাচনতন্ত্র পরিষ্কার করতে সাহায্য করতে পারে, যা আপনার ওজন কমানোর প্রচেষ্টায় সহায়তা করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উপকারিতা
ত্রিফলা ভিটামিন সি, ফ্ল্যাভোনয়েড এবং পলিফেনলসহ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং ফ্রি র‌্যাডিক্যাল ক্ষতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে, যা বার্ধক্য এবং বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী রোগের সঙ্গে যুক্ত। তাই নিয়মিত ত্রিফলা খেলে সুস্থ থাকা সহজ হয়।
ত্রিফলা কীভাবে ব্যবহার করবেন
আস্ত ত্রিফলা, ত্রিফলা পাউডার, ক্যাপসুল এবং ট্যাবলেট সহ বিভিন্ন আকারে পাওয়া যায়। এটি সবার জন্য সমান পরিমাণ নাও লাগতে পারে। ব্যক্তিভেদে ত্রিফলা খাওয়ার পরিমাণ বেশি-কম হতে পারে। কতটুকু খাবেন তা জানার জন্য একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন।
#ওজন কমাতে জুড়ি নেই ত্রিফলার, কী ভাবে কাজ করে এই আশ্চর্য ভেষজ?
#ত্রিফলা, একটি আয়ুর্বেদিক ভেষজ যা আসলে তিনটি ফলের সমন্বয়ে গঠিত। যেমন আমলকী, বিভীতকী এবং হরিতকী। এটি একটি বিস্ময়কর উপাদান যা ওজন কমাতে সহায়তা করতে পারে। শরীরের ভিতর পরিষ্কার করা এবং ডিটক্সিফিকেশনের জন্যও এটি ব্যবহৃত হয়। এই মিশ্রণটি হজমজনিত ব্যাধি এবং কোষ্ঠকাঠিন্য-সহ নানা শারীরিক জটিলতা দূর করে।
#কী ভাবে ওজন কমায় ত্রিফলা?
হজম হল শরীরের মূল ক্রিয়া যা আমাদের শরীরের কার্যকারিতা এবং চেহারাকে প্রভাবিত করে। যেহেতু ত্রিফলা হজমকে প্রভাবিত করে এবং পরিপাকতন্ত্রের নিখুঁত ভারসাম্য অর্জনে সহায়তা করে তাই এটি শরীর সুস্থ রাখতে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে ত্রিফলা কোলন টিস্যুকে শক্তিশালী করে এবং পেটের চারপাশে জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সাহায্য করে। এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ করতে সাহায্য করে এবং বিপাককে বাড়িয়ে তোলে। গবেষণা বলছে যারা স্বাস্থ্যকর ডায়েট অনুসরণ করেন এবং এক্সারসাইজ করেন তাঁরা যদি ত্রিফলা খান তাঁদের আরও বেশি চর্বি কমে, কোমরের আকার ঠিক হয়।
আরও পড়ুন :  অনিদ্রায় ভুগছেন? রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে চুমুক দিন সুবাসিত চায়ের পেয়ালায়
কী ভাবে ত্রিফলা খেলে কাজ দেবে বেশি?
পাউডার আকারে, তরল, ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল আকারে ত্রিফলা পাওয়া যায়। তবে যেটা কিনছেন, সেটা যেন খাঁটি হয় এটুকুই মনে রাখা দরকার। সর্বাধিক শোষণ এবং সবচেয়ে কার্যকর ক্রিয়াকলাপের জন্য, খালি পেটে ত্রিফলা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। দিনে ৫০০ মিলিগ্রাম থেকে ১ গ্রাম ত্রিফলা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় তবে এই ডোজ মূলত শারীরিক অবস্থা, ওজন এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে ঠিক করা হয়। গুঁড়ো ভার্সনে ত্রিফলা সবচেয়ে বেশি খাওয়া হয় এবং গরম জল এবং মধু দিয়ে খাওয়া হয়, বিশেষত খাবারের আগে।
কখন ত্রিফলা খাওয়া উচিত নয়
গর্ভবতী হলে বা স্তন্যদানকারী হলে ত্রিফলা না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় কারণ এটি রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করতে পারে এবং গর্ভপাত ঘটাতে পারে বা সন্তানের ক্ষতি করতে পারে। যদি কেউ ডায়াবেটিক হয় তবে সঠিক ডাক্তারি প্রেসক্রিপশন ছাড়া ত্রিফলা না খাওয়াই ভালো। যদি ইতিমধ্যেই কেউ গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে ত্রিফলার বেশি ডোজ চলবে না কারণ এটি গ্যাসের সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। শিশুদের ত্রিফলার কোনও ডোজ দেওয়া যাবে না, কারণ এটি পেট খারাপ বা ডিহাইড্রেশনের সমস্যা তৈরি করতে পারে।
#রোগ নিরাময়ে ত্রিফলা
#‘ত্রিফলা’ অতি চমৎকার এক ভেষজ মিশ্রণ, যা অসংখ্য রোগ নিরাময়ে আয়ুর্বেদ চিকিৎসকেরা ব্যবহার করে থাকেন। রেচক বা জোলাপ হিসেবে এর ব্যবহার হলেও, অসংখ্য রোগ নিরাময়ে এর রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। আজ বিজ্ঞানের চরম উৎকর্সের দিনেও ত্রিফলার রোগ নিরাময়ি ভূমিকা পরিপূর্ণভাবে ব্যাখ্যা করা সম্ভব হয়নি। তাই অনেক বিজ্ঞানী, চিকিৎসক ও গবেষকের কাছে ত্রিফলা এক অত্যাশ্চর্য ভেষজ মিশ্রণ। শুধু রেচক হিসেবে নয়, উদ্দীপক ও শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে এর রয়েছে বিশেষ ভূমিকা। ত্রিফলা আমাদের শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়, রক্ত পরিষ্কার করে, আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে পুনঃযৌবন দান করে এবং আমাদের দেহকে নবীন ও শক্তিশালী করে।
সংক্ষিপ্ত পরিচিত: ‘ত্রিফলা’ কথাটির মানে হচ্ছে তিন ফলের সমাহার বা মিশ্রণ। আর এই ফল তিনটি হলো- আমলকী, হরীতকী ও বহেড়া। দ্রব্যগুণে ফল তিনটির অবস্থান অনেক ঊর্ধ্বে। শুধু আয়ুুর্বেদ শাস্ত্রে নয়, আধুনিক গবেষণায়ও প্রমাণিত হয়েছে যে, দ্রব্যগুণে সর্বশ্রেষ্ঠ হচ্ছে হরীতকী, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আমলকী এবং তৃতীয় স্থানে বহেড়া। ফল তিনটির বীজ বাদে বাকি অংশ শুকিয়ে গুড়ো করে সমপরিমাণে মিশিয়ে ত্রিফলা তৈরি করা হয়।
আয়ুর্বেদ রসায়নে ‘ত্রিফলা’: আয়ুুর্বেদ শাস্ত্রে বলা হয়েছে, মানবদেহ তিনটি মূল বা সারবস্তুর সমন্বয়ে গঠিত। এই তিনটি হলো বাতা, পিত্ত ও কাফা। ‘বাতা যার বাংলা মানে হচ্ছে বায়ু, যা আমাদের মন ও স্নায়ুতন্ত্রের সাথে জড়িত। এর স্বভাব বা প্রকৃতি হচ্ছে শুষ্ক, ঠান্ডা, হালকা ও শক্তিশালী। দ্বিতীয়টি হলো ‘পিত্ত’ যার বাংলা মানে হচ্ছে অগ্নি। এটি আমাদের বিপাকক্রিয়ার সাথে সম্পর্কিত, যা আমাদের দেহে যাবতীয় খাদ্যের হজমক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্ত এবং হজম-পরবর্তী খাদ্যের যাবতীয় সারবস্তু ‘কাফা’ যার মানে হলো পানি বা শ্লেষ্মা। অনেক সময় পানি বা শ্লেষ্মাকে জীবনের মূল ভিত্তি বলা হয়। এটি আমাদের দেহের সব গঠনক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। এটি আমাদের দেহের নিত্যনতুন কোষ তৈরি, মাংসপেশির গঠন, হাড়ের গঠন ও বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে। এর প্রকৃতি বা স্বভাব হলো ঠান্ডা, আর্দ্র ও ভারী।
এই বাতা, পিত্ত ও কাফার সমন্বয়ে আমাদের দেহ গঠিত বলে এগুলোর যেকোনো একটির ভারসাম্যহীনতা বা অস্বাভাবিকতা আমাদের দেহে বিভিন্ন প্রকারের রোগ সৃষ্টি করে। আর ত্রিফলাতে রয়েছে এই গুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার কার্যকর উপাদান। এ তিনটি উপাদান ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে বলে একে বলা হয় ত্রিদোষনাশক। ত্রিফলার (আমলকী, হরীতকী ও বহেড়া) প্রতিটি ফলের ত্রিদোষনাশক গুণাবলি থাকলেও এর একেকটি ফল একেকটি সারবস্তুর (বাতা, পিত্ত ও কাফা) ভারসাম্য রক্ষায় বেশি কার্যকর। কোন ফলটি কোনটির ভারসাম্য রক্ষায় বেশি কার্যকর তা নিম্নে আলোচনা করা হলো।
হরীতকী: এ ফলটি তিক্ত স্বাদযুক্ত যা আমাদের ‘বাতা’ নামক সারবস্তু তথা মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য রক্ষা করে। তাই মস্তিষ্ক ও স্নায়ুবিক কোনো রোগে হরীতকী খুবই কার্যকর। হরীতকী রেচক, সঙ্কোচক, পিচ্ছিলকারক, পরজীবীনাশক, মাংসপেশির সঙ্কোচক প্রতিরোধক এবং স্নায়ুবিক দুর্বলতা প্রতিরোধী গুণসম্পন্ন। তাই দীর্ঘকালীন কোষ্ঠকাঠিন্য, স্নায়ুবিক দুর্বলতা, উদ্বিগ্নতা এবং অল্পতেই হৃদকম্পন বেড়ে যাওয়ার চিকিৎসায় হরীতকী ব্যবহৃত হয়। ত্রিফলার তিনটি ফলের মধ্যে হরীতকী সর্বশ্রেষ্ঠ রেচক এবং দ্রব্যগুণেও সর্বশ্রেষ্ঠ।
আমলকী: আমলকী অম্ল বা টকস্বাদযুক্ত যা পিত্ত নামক সারবস্তুর ভারসাম্য রক্ষায় খুবই কার্যকর। এটি ঠান্ডাকারক, সঙ্কোচক, মৃদু বিরেচক গুণসম্পন্ন। তাই আমাদের বিপাক জনিত বিভিন্ন সমস্যা যেমন- আলসার, পাকস’লীর প্রদাহ, আন্ত্রিক প্রদাহ, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, কলিজা বা লিভারের জ্বালাপোড়া, কলিজার সংক্রামণ এবং শরীরের জ্বালাপোড়া নিরাময়ে আমলকী খুবই কার্যকর। আধুনিক কালের অসংখ্য গবেষণায় আমলকীর ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস প্রতিরোধী, কফ নিঃসারক এবং হৃৎপিন্ডের টনিক গুণাবলির প্রমাণ পাওয়া যায়। আমলকী ভিটামিন-সি রয়েছে এবং এর ভিটামিন-সি তাপে নষ্ট হয় না। এমনকি অতি উচ্চ তাপেও এর ভিটামিন-সি নষ্ট হয় না। তাই আমলকীর পুষ্টি ও ঔষধিগুণ অপরিবর্তিত রেখে শুকিয়ে এক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। আমলকীর ভিটামিন-সি দীর্ঘস্থায়ী ও তাপ সহ্যকারী হওয়ার মূল কারণ হলো এতে বিদ্যমান ট্যানিন ভিটামিন-সির সাথে বন্ধন তৈরি করে এবং এর ক্রমাগত হ্রাস বা ধ্বংস হওয়া প্রতিরোধ করে।
বহেড়া: বহেড়া কষায় স্বাদযুক্ত ফল। এটি ‘কাফা’ নামক সারবস্তুর ভারসাম্য রক্ষায় খুবই কার্যকর। বহেড়া সঙ্কোচক, টনিক, হজমশক্তির বৃদ্ধিকারক এবং মাংসপেশির সঙ্কোচন প্রতিরোধক গুণসম্পন্ন। বহেড়া দেহের প্রধান জীবনীশক্তি শ্লেষ্মা তথা রসকে বিশুদ্ধ করে এবং এর ভারসাম্য রক্ষা করে। তাই বহেড়া হাঁপানি, অ্যালার্জি, ব্রঙ্কাইটিস ও কাশির ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর।
ত্রিফলার কিছু গুণ: ১. হজমশক্তি বৃদ্ধি করে ২. অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে ৩. দেহে রক্তসঞ্চালন বাড়ায় ৪. রক্তচাপ কমায় ৫. হৃদরোগ কমায় ৬. রক্তে কোলেস্টেরল কমায় ৭. যকৃৎ বা লিভারের রোগপ্রতিরোধ করে ৮. লিভারের পিত্ত নিঃসরণ বাড়ায় ৯. কফ নিঃসরণ করে ১০. ক্যান্সার প্রতিরোধ করে ১১. ওজন হ্রাস করে ১২. ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে ১৩. এইডস প্রতিরোধ করে প্রভৃতি।
ত্রিফলা কিভাবে কাজ করে: ত্রিফলা এক অতি চমৎকার ভেষজ মিশ্রণ, যা আমাদের শরীরের সব অঙ্গপত্যঙ্গের ওপর উপকারী ও কার্যকর ভূমিকা পালন করে। নিম্ন বিভিন্ন তন্ত্রের ওপর এর কার্যকারিতা ব্যাখ্যা করা হলো।
বাহ্যিক ব্যবহারে: ত্রিফলা চূর্ণ চোখের জন্য খুবই উপকারী। ত্রিফলা দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় এবং চোখের অনেক রোগ দূর করে। ত্রিফলা ঘৃত, এক আয়ুর্বেদি ওষুধ যা চোখের পেশিগুলোকে শক্তিশালী করে। চোখের রোগের চিকিৎসায় ত্রিফলার কাথ খুবই কার্যকর। এ ছাড়া ত্রিফলার পেস্ট ক্ষত নিরাময় এবং ফেলা কমাতে খুবই কার্যকর।
স্নায়ুতন্ত্রের ভারসাম্যতায়: ত্রিফলা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে এবং কর্মক্ষমতা বাড়ায়। ফলে মস্তিষ্ক ত দ্রুত কোনো কাজের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে, যেকোনো স্নায়ুবিক রোগই বাতা নামক সারবস্তুর ভারসাম্যহীনতার ফলে হয়। ত্রিফলা শুধু বাতা নয়, পিত্ত ও কাপা অর্থাৎ তিনটির ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে। তাই মস্তিষ্ক ও স্নায়ু সম্পর্কিত যেকোনো রোগ নিরাময়ে ত্রিফলা খুবই উপকারী ভ‚মিকা পালন করতে পারে।
পরিপাকতন্ত্রে: হজমশক্তি বৃদ্ধিতে ত্রিফলা খুবই কার্যকর। এটি শুধু হজমশক্তি বৃদ্ধি করে না বরং খাদ্যের উপাদানগুলোর শোষণেও সহায়তা করে। এটি পৌষ্টিক নালীর সঙ্কোচন প্রসারণ স্বাভাবিক রাখে। এটি যকৃৎ থেকে পিত্ত নিঃসরণসহ অন্যান্য অঙ্গের পাচক রস নিঃসরণ বাড়ায়। এটি পাকস্থলীর অত্মীয় ও ক্ষারীয় অবস্থা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে হজমশক্তি বৃদ্ধি করে এবং সঠিক হজমক্রিয়া পরিচালনা করে। এটি ক্ষুধামান্দ্য দূর করে এবং আমাদের মাঝে আহার করার প্রবণতা সৃষ্টি করে। এটি আমাদের অন্ত্রের সঙ্কোচন প্রসারণ বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। সর্বোপরি এটি আমাদের পাকস্থলীর মসৃণ পেশির টান বা সঙ্কোচন প্রতিরোধ করে এবং এর স্বাভাবিক কার্যাবলি সাধনে সাহায্য করে।
প্রজননতন্ত্রে: প্রজননতন্ত্রের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে ত্রিফলা খুবই উপকারী। এটি প্রজনন অঙ্গগুলোর পিএইচ লেভেল নিয়ন্ত্রণ করে, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের প্রজনন অঙ্গকে শক্তিশালী করে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ত্রিফলা পুরুষের শুক্রাণু বৃদ্ধি করে এবং মহিলাদের মাসিক চক্র নিয়মিত করে। তাই প্রজননতন্ত্রের সমস্যায় ত্রিফলার ব্যবহার খুবই ফলপ্রসূ।
চামড়া সজীব রাখতে- এটি আমাদের চামড়ার স্বাভাবিক গঠন নিয়ন্ত্রণ ও রক্ষা করতে পারে। ত্রিফলা দেহে রক্তসঞ্চালন বাড়ায় ফলে চামড়া পরিপূর্ণ পুষ্টি পায়। অপর দিকে বেশি রক্তসঞ্চালন হওয়ায় চামড়ার মৃত কোষগুলোর অপসারণ হয়। ত্রিফলা বয়সের ফলে চামড়ার ভাঁজ ও চুল সাদা হয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে। ত্রিফলা দেহে রক্ত ও পানির সুসামঞ্জস্য রক্ষা করে, ফলে ত্বক উজ্জ্বল ও আর্দ্র থাকে এবং বয়সের ছাপ পড়ে না।
ডা. আলমগীর মতি
হারবাল গবেষক ও চিকিৎসক
চেয়ারম্যান মডার্ণ হারবাল গ্রুপ।
#গ্যাস-অম্বলে ভুগছেন?
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বলা হয় ত্রিফলার রয়েছে হাজার গুণ
লাইফস্টাইল বিশেষজ্ঞ Luke Coutinho বলেছেন যে, ত্রিফলাকে ত্রিদোষ বলা হয়। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বলা হয় ত্রিফলার রয়েছে হাজার গুণ। এটি আট থেকে আশি সকলেই সেবন করতে পারেন। ভিটামিন C এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর এই ত্রিফলা পেটের সমস্যায় সমাধান করতে সক্ষম। শরীরে জমে থাকা টক্সিন বের করে দিতেও ভীষণ উপকারী। ত্রিফলার মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট প্রচুর পরিমাণে রয়েছে যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি পেশির জোর বাড়াতে এবং হাড়কে মজবুত করতেও বেশ উপকারী বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি হিতের বিপরীত হতে পারে
#পাইলস সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান ত্রিফলা চূর্ণ
#মূলত, পাইলস হলো মলদ্বারের চারপাশের ত্বকের নিচে শিরাগুলোর গুচ্ছ, যা দুটি শ্রেণিতে শ্রেণিবদ্ধ করা যেতে পারে। প্রথম, মলদ্বারের ভেতরে এবং দ্বিতীয় মলদ্বারের বাইরে। সাধারণত লোকেরা মলের সঙ্গে রক্ত পড়াকে পাইলস ভেবে নেয়। যদিও বাস্তব হলো অর্শ বা পাইলস আক্রান্ত ৩০ শতাংশ রোগীদের মলের সঙ্গে রক্ত পড়ে এবং বাকি ৭০ শতাংশ রোগীদের জ্বালা, চুলকানি এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো লক্ষণ রয়েছে।
পাইলাসের সমস্যা অধিকতর হলে অনেক সময় অপারেশনেরও প্রয়োজন হয়ে থাকে, তবে এই সমস্যার ঘরোয়া সমাধানও রয়েছে। তেমনি একটি সমাধান হলো ত্রিফলা চূর্ণের ব্যবহার। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক পাইলস সমস্যায় ত্রিফলা চূর্ণের ব্যবহার পদ্ধতি-
যা যা লাগবে
ত্রিফলা চূর্ণ, গরম পানি।
ব্যবহার পদ্ধতি
প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে উষ্ণ গরম পানিতে চার গ্রাম ত্রিফলা গুঁড়া মিশিয়ে খেতে হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য হলো পাইলসের প্রধান কারণ। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ত্রিফলা গুঁড়া নিয়মিত গ্রহণ করা উচিত। পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসায় এটি ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
#বুকজ্বালা
#পেট ও পেটে ব্যথা
#বমি বমিভাব
#শ্বাসকষ্ট
#মুখে তিক্ত স্বাদ
#মুখের ঘা
#মাথা_ব্যথা
নিম্ন #রক্তচাপ
#অনিদ্রা
#ক্ষুধা ও অস্বস্তি হ্রাস
#কোষ্ঠকাঠিন্য
#চুল_পড়া
#ত্রিফালা কী:
ত্রিফলা তিনটি আয়ুর্বেদিক ভেষজ ফলের সংমিশ্রণ। এই তিনটি ফল হল –
#আমলকী
#বিভীতকী
#হরীতকী
এই তিনটি ফলের গুঁড়োকে একসাথে মিশিয়ে ত্রিফলা তৈরি করা হয় । এটি সর্বদা একজন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া উচিত।
Benefits of Triphala – ত্রিফলার উপকারিতা:
চোখের জন্য: এক চামচ ত্রিফলা গুঁড়ো এক বাটি জলে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে, এটি একটি কাপড় দিয়ে ফিল্টার করুন এবং আপনার চোখটি সেই জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি চোখের জন্য খুব উপকারী। এর কারণে চোখ পরিষ্কার এবং দৃষ্টি সূক্ষ্ম হয়। চোখ জ্বালা, লালভাব ইত্যাদি সমস্যা দূর হয়।
মুখের দুর্গন্ধ: ত্রিফালাকে সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ব্রাশ করার পরে এই জলটি মুখে ভরে রাখুন। কিছুক্ষণ পরে ফেলে দিন। এ কারণে দাঁত এবং  মাড়ি বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত দৃড় থাকে। এটি অ্যানোরেক্সিয়া, দুর্গন্ধ এবং মুখের আলসার ধ্বংস করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য ঠিক করে: কোষ্ঠকাঠিন্য অনেক গুরুতর রোগের মূল হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে আয়ুর্বেদে। আপনি যদি কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন তবে ভবিষ্যতে পাইলস, ফিশারের মতো অনেক মারাত্মক রোগ হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ত্রিফলা চূর্ণকে কার্যকর ওষুধ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এটি দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিনায় আক্রান্ত রোগীদের জন্যও খুব দরকারী।
অ্যাসিডিটি কম করে: কোষ্ঠকাঠিন্য ছাড়াও পেটের সাথে সম্পর্কিত আরও একটি সমস্যা হল অ্যাসিডিটি, যার কারণে বেশিরভাগ মানুষ চিন্তিত। এই সমস্যাটি ভুল খাওয়ার এবং অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে ঘটে। ত্রিফলা চূর্ণ সকল রোগ যেমন পেট ফাঁপা, গ্যাস সমস্যা (হাইপারাক্সিটি) ইত্যাদি থেকে মুক্তি দেয়।
হজম শক্তি বাড়ায়: হজম শক্তি দুর্বল হওয়ার কারণে অনেক রোগের ঝুঁকি বাড়ে। আয়ুর্বেদের মতে, ত্রিফলায় এমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা হজম শক্তিকে শক্তিশালী করে এবং পেট সম্পর্কিত রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। অতএব, যদি আপনার হজম শক্তি দুর্বল হয় তবে ডাক্তারের পরামর্শের পরে ত্রিফলা নেওয়া শুরু করুন।
চর্বি ও ওজন কম করে: আপনি যদি বাড়তি ওজন এবং চর্বি নিয়ে সমস্যায় পড়ে থাকেন এবং দ্রুত এ থেকে মুক্তি পেতে চান তবে ত্রিফালা আপনার জন্য কার্যকর ওষধ হতে পারে। আয়ুর্বেদের মতে, ত্রিফলায় এমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে। তাই নিয়মিত ত্রিফলা চূর্ণ গ্রহণ করুন।
চুল পড়া রোধে:  আজকাল বেশিরভাগ লোকেরা চুল পড়ার সমস্যায় পড়েছেন এবং প্রতিদিন চুল পড়া বন্ধ করার জন্য নতুন উপায়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে আপনি যদি আয়ুর্বেদের সহায়তা নেন তবে চুল পড়া সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ত্রিফলা চূর্ণ খেয়ে চুল পড়া অনেকাংশে হ্রাস করা যায়।
#ত্রিফলা: উপকারিতা, রচনা, ব্যবহার এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
#গুরুত্বপূর্ণ দিক
ত্রিফলা একটি প্রাচীন প্রতিকার যা বিভিন্ন স্বাস্থ্য অবস্থার চিকিৎসায় সাহায্য করতে পারে
বিভিটকি, হরিতকি এবং আমলা থেকে প্রাপ্ত ফল ত্রিফলার তিনটি প্রধান উপাদান
ত্রিফলা উচ্চ রক্তচাপ চিকিত্সা, ত্বকের অবস্থা এবং হজম সংক্রান্ত সমস্যাগুলির জন্য দরকারী
ত্রিফলাএটি একটি প্রাচীন আয়ুর্বেদিক প্রতিকার যা ভারতীয়রা প্রায় 1,000 বছর ধরে ব্যবহার করে আসছে। এর উপাদানগুলি তিনটি ঔষধি গাছ থেকে আসে যা ভারতের স্থানীয়। এই কারণেই প্রকৃতিবিদরা একে পলিহারবাল ওষুধ বলে থাকেন। গ্রাসকারীত্রিফলাঅনেক স্বাস্থ্য অসুস্থতা মোকাবেলা করার জন্য একটি জনপ্রিয় অভ্যাস।
আপনি যেমন দোকানে এটির অনেক বৈচিত্র খুঁজে পেতে পারেনত্রিফলা চূর্ণ,ত্রিফলা ট্যাবলেটবাত্রিফলা গুঁড়ো. যদিও এর উপাদানগুলির মধ্যে সামান্য পার্থক্য থাকতে পারে, আপনি সাধারণ উপাদান হিসাবে 3টি ঔষধি গাছ পাবেন।ত্রিফলার উপকারিতাথেকেউচ্চ রক্তচাপ চিকিত্সাহজমজনিত রোগের চিকিৎসার জন্য।
ত্রিফলার সেরা ১০টি উপকারিতা সম্পর্কে আরও জানতে, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া পড়া ব্যবহার.
ত্রিফলার সেরা ১০টি উপকারিতা
1. লিভার ফাংশন উন্নত
ত্রিফলা লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করতে এবং শরীরকে বিষাক্ত পদার্থ থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করতে পারে। ত্রিফলা একটি শক্তিশালী লিভার টনিক যা লিভারকে পরিষ্কার এবং ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করতে পারে। এটি লিভারে রক্ত ​​​​প্রবাহ উন্নত করতে এবং নতুন লিভার কোষের উত্পাদনকে উন্নীত করতেও সহায়তা করতে পারে।
2. প্রদাহ হ্রাস
আপনি যদি প্রদাহ কমানোর প্রাকৃতিক উপায় খুঁজছেন, আপনি ত্রিফলা চেষ্টা করতে পারেন। এই আয়ুর্বেদিক ভেষজ প্রতিকার তিনটি ফলের মিশ্রণ থেকে তৈরি করা হয় এবং প্রদাহ কমাতে খুবই কার্যকর বলে বলা হয়। ত্রিফলাও একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে।
3. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ত্রিফলা হল ভিটামিন সি-এর একটি চমৎকার উৎস। এই ভিটামিনটি শ্বেত রক্তকণিকা তৈরির জন্য অপরিহার্য, যা ইমিউন সিস্টেমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ত্রিফলা একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ফ্রি র‌্যাডিক্যালের কারণে হওয়া ক্ষতি থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
4.স্ট্রেস কমায়
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে ত্রিফলা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে এটি ইঁদুরের মানসিক চাপকে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করেছে। আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে এটি মনের উপর একটি শান্ত প্রভাব ফেলেছে এবং মানুষের বিষয়গুলিতে ঘুমের গুণমান উন্নত করেছে।
5. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
ত্রিফলাএকটি প্রাচীনকোষ্ঠকাঠিন্যের ঘরোয়া প্রতিকার. এটি অন্যান্য হজম সংক্রান্ত সমস্যাগুলির জন্যও কার্যকর হতে পারে যেমন পেট ফাঁপা, পেটে ব্যথা এবং অনিয়মিত মলত্যাগ [9]।
6. কিছু ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন পলিফেনল এবং গ্যালিক অ্যাসিড দেয়ত্রিফলাশক্তিশালী বিরোধী ক্যান্সার বৈশিষ্ট্য। এটি নিম্নলিখিত ক্যান্সারের সাথে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে [6]।
লিম্ফোমা
পেটের ক্যান্সার
অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার
মলাশয়ের ক্যান্সার
মূত্রথলির ক্যান্সার
যদিও এটি টেস্ট টিউব অধ্যয়নের উপর ভিত্তি করে, ডাক্তাররা এর কার্যকারিতা এবং নিরাপত্তা পরীক্ষা করার জন্য আরও গবেষণা করছেন৷
7. দাঁতের সমস্যা এবং গহ্বর থেকে রক্ষা করে
ত্রিফলাএকটি ভেষজ প্রতিকার যা আপনার মুখের স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সাহায্য করে। এটিতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা প্লাক তৈরি হওয়া প্রতিরোধে সহায়তা করে। ফলক গঠন জিঞ্জিভাইটিস এবং গহ্বর হতে পারে। গবেষণা অনুযায়ী,ত্রিফলামাউথওয়াশ প্লাক তৈরি, ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি এবং মাড়িতে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে [৭]।
8. ওজন কমাতে সাহায্য করে
ত্রিফলাওজন কমানোর জন্যও ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে পেটের চর্বি। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে 10 গ্রাম এর পাউডারের ফলে ওজন হ্রাস পায় এবং কোমর এবং নিতম্বের পরিধি হ্রাস পায়
#9. টাইপ 2 ডায়াবেটিস পরিচালনা করুন
টাইপ 2 ডায়াবেটিসএকটি সাধারণ দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা যা উচ্চ ঘটায়রক্তে শর্করার মাত্রা.ত্রিফলাএটি এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে [10]। আমলা এবং বিভিটকি, এর প্রধান দুটি ফল, এর ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এগুলো রক্তে শর্করাকে কমাতে সাহায্য করে, ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে এবং এমনকি টাইপ 2 ডায়াবেটিসের কারণে নার্ভের ক্ষতি মোকাবেলা করে।
10. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করুন
এর প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যত্রিফলাআপনার রক্তনালীতে চাপ কমাতে সাহায্য করুন। এটি একটি কার্যকরী করে তোলেরক্তচাপের ওষুধ. মানসিক চাপ এবং উদ্বেগও রক্তচাপ বাড়ায়। এর শান্ত বৈশিষ্ট্যত্রিফলাস্ট্রেস এবং উদ্বেগের চিকিৎসায় সাহায্য করতে পারে, যা আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
ত্রিফলায় উপস্থিত 3টি ঔষধি গাছ
হরিতকী
টার্মিনালিয়া চেবুলা নামেও পরিচিত, এই গাছের সবুজ ফল হল অন্যতম প্রধান উপাদানত্রিফলা. হরীতকীকে ওষুধের রাজাও বলা হয় বিভিন্ন রোগে ব্যবহারের কারণে। এটি অনেক হৃদরোগ, আলসার এবং পেটের রোগের জন্য উপশম দেয় [৪]। এটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যও রয়েছে
#ত্রিফলারাসায়নিক রচনা
যে তিনটি ফল ত্রিফলা তৈরি করে তাদের প্রত্যেকটিরই রয়েছে অনন্য বৈশিষ্ট্য ও উপকারিতা। আমলকি একটি টক ফল যা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। হরিতকি একটি তিক্ত ফল যা শরীরকে পরিষ্কার এবং ডিটক্সিফাই করার ক্ষমতার জন্য পরিচিত। বিভিটাকি একটি মিষ্টি ফল যা শ্বাসকষ্টের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। ত্রিফলা হল একটি নিরাপদ এবং কার্যকর ভেষজ সম্পূরক যা আপনি প্রতিদিন গ্রহণ করতে পারেন পরিপাক স্বাস্থ্য এবং ডিটক্সিফিকেশনের জন্য।
ত্রিফলার সঠিক গঠন নির্ভর করে ব্যবহৃত তিনটি মাইরোবালান ফলের অনুপাতের উপর। যাইহোক, তিনটি ফলতেই ট্যানিন, গ্যালিক অ্যাসিড, ইলাজিক অ্যাসিড, চেবুলিনিক অ্যাসিড এবং তাদের নিজ নিজ গ্যালোটানিন সহ বেশ কয়েকটি প্রয়োজনীয় যৌগ রয়েছে।
ত্রিফলার ব্যবহার
ত্রিফলা হল একটি আয়ুর্বেদিক ভেষজ মিশ্রণ যা সাধারণত বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত অবস্থার জন্য প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসাবে ব্যবহৃত হয়। ত্রিফলায় তিনটি ভিন্ন ফল (আমলা, বিভিতাকি এবং হরিতকি) রয়েছে, প্রতিটিই তার অসাধারণ স্বাস্থ্য সুবিধার জন্য পরিচিত।
ত্রিফলার কিছু সাধারণ থেরাপিউটিক ব্যবহারের মধ্যে রয়েছে:[12]
হজম সহায়তা
ত্রিফলা প্রায়ই প্রাকৃতিক পাচক টনিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি হজমের কার্যকারিতা উন্নত করতে এবং বদহজমের উপসর্গ যেমন ফোলাভাব, গ্যাস এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করতে পারে।
#ইমিউন সাপোর্ট
ত্রিফলা একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
চোখের স্বাস্থ্য
ত্রিফলার আমলা ফল ঐতিহ্যগতভাবে চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি চোখের ক্লান্তি কমাতে এবং চোখকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে বলে মনে করা হয়।
ত্বকের স্বাস্থ্য
ত্রিফলা প্রায়ই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য চিকিত্সা হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এটি ত্বকের বর্ণ এবং গঠন উন্নত করে এবং বলিরেখা এবং সূক্ষ্ম রেখা কমাতেও সাহায্য করতে পারে বলে বিশ্বাস করা হয়।
স্ট্রেস রিলিফ
ত্রিফলাও একটি প্রাকৃতিক স্ট্রেস রিলিভার। এটি শিথিলকরণ প্রচার করতে এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে বলে মনে করা হয়।
#শীতে কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন?
শীতকালে অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন। এই সময় যেমন খাওয়া-দাওয়াও বেশ জমিয়ে হয়, তেমনই গ্যাস-অম্বলও বেশি হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে পেট, কোমরে ব্যথা শুরু হয়, ব্যথা হয় মলদ্বারেও। পেট পরিষ্কার হয় না ঠিকমতো। ফলে গ্যাস লেগেই থাকে। খাওয়া-দাওয়ায় কোনো রুচি থাকে না। সুস্থ থাকতে এই শীতে খাওয়া-দাওয়া নিয়ে সচেতন থাকা জরুরি।
#ত্রিফলা: ত্রিফলা কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসায় দারুণ কার্যকর। রোজ রাতে ঘুমানোর আগে এক চামচ ত্রিফলা চূর্ণ এক কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে নিন। তার পরে সেটি খেয়ে ফেলুন। সকালে পেট পরিষ্কার হয়ে যাবে।


 

0 Reviews:

Post Your Review